IE and Textile | Textile Learning Blog

একজন টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ার। সাঈদ রিমন। - IE And Textiles

Breaking News

একজন টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ার। সাঈদ রিমন।

 Sayeed Rimon

Social Awareness Promoter (Textile'15, AUST)

 

সাঈদ রিমন।টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ার।

আহ্সানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইলে স্নাতক করেছেন সাঈদ রিমন। কর্মজীবনের শুরুতে ২০১২ সালে তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় Talha Spinning Mills Ltd. প্রোডাকশন অফিসার হিসেব কর্মরত ছিলেন এবং কাজ করেছেন Deputy Manager-Yarn Sales and Marketing হিসেবে ( Noman Terry Towel Mills Ltd. ) এই প্রজন্মের মেধাবী একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বর্তমানে তিনি CEO হিসেবে কাজ করছেন OSN Sourcing। শিক্ষকতা করেছেন Adjunct Faculty, Dept.of Textile Engineering,  Northern University Bangladesh ।কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশ কে সামাজিক সচেতনতা ও নৈতিকতা বৃদ্ধির জন্য নিজেক মেলে ধরেছেন। গত ছয় বছর ধরে শখের বশে ফেসবুকে সাঈদ রিমন এ কাজ করে যাচ্ছেন নিরবচ্ছিন্নভাবে। কাওরান বাজারের টুকরিতে ঘুমিয়ে থাকা ক্লান্ত রিমন কিংবা  চাকরীর খোজে থাকা শিক্ষিত রিমন অথবা পেটের দ্বায়ে শেষমেশ চোর হওয়া সহ আরো নানান বাস্তব চরিত্রে অভিনয় করে সকলকে সচেতন করে এসেছেন। কখনো মুচির বেশে, কখনো সবজিওয়ালা আবার কখনো সেজেছেন মলম পার্টি হিসেবে। অসচেতন থাকলে রাস্তায় কিভাবে মানিব্যাগ-ফোন চুরি হতে পারে সেইগুলাও চোর সেজে মানুষকে সচেতন করেন উনি। বাস , ট্রেন, লঞ্চঘাটে ব্যানার পোস্টার নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন সচেতনতার কাজে। 

 We are proud to ba an NUBIAN.



আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যে আমাদের বাস্তব জীবনকে কতটা প্রভাবিত করে তার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন সাঈদ রিমনঃ


ভার্সিটি লাইফ শুরুর আগেই আমার বাবা মারা যান, শুরুর দিকে মন খুব একটা ভালো ছিল না। আম্মুর জন্যই এতদূর আসা। আমার কাছে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একটা অনুভূতি। কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে মানুষ বানিয়েছে। আমাকে নতুন করে জন্ম দিয়েছে। ছোট বেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আসক্তি ছিলো ভীষণ ভার্সিটির স্টেইজেই আমার জীবনের প্রথম পার্ফমেন্স ।এছাড়াও ডিপার্টমেন্ট থেকে পার্ফম করতাম যখন নবীনবরন হতো , যদিও  এটা এখনো করছি। ছোটোরা আমাকে স্মরন করে আরকি। ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাকে একটি সম্মাননাও প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রথমে যখন ভিডিও বানাতাম, সেগুলো বরগুনাতে 3gp করে বাজারে ঘুরে ঘুরে গান লোডের দোকানে দোকানে দিয়ে আসতাম কেউ রাখতে চাইতো কেউ ভাল ভাবে নিতো না। শুরুতে তো এত ভালো ভাবে নেই নি কেউ ,তবে ভার্সিটির ঐ পার্ফমেন্স টা আমার টার্নিং পয়েন্ট ছিল ।


ভার্সিটিতে ক্যান্টিনের সামনেই বেশিরভাগ সময় পড়াশুনা করতাম ,কোনো ক্যারি ক্লিয়ারেন্স দিতে হয়নি । আর ব্যাচের সবার সাথে সিনিয়র জুনিয়রের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল। আমি ছিলাম টেক্সটাইল ১৫



তম ব্যাচ। AUSTIANS'দের সেমিস্টার ফাইনালের পূর্বের চিত্র  পড়াশুনার এত্তই চাপ,বিশাল সিলেবাস-পড়তে পড়তে ঘুমাইয়া পড়া ছাড়া উপায় নাই । অঘোষিত কারাগার আহসানউল্লাহ-Perfect মিস্ত্রী/Engineer বানানোর কারাগার । মোবাইল কোর্ট যেখানে ল্যাব ফাইনাল ,হাই কোর্ট সেখানে সেমিস্টার ফাইনালের উপর।



যখন করোনা সংক্রামণের প্রকট দেখা দেয় তখন নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী আমার বাসায় রান্না করে ৩৫ টি খাবার স্টেশনে বিতরণ করি। বিতরণের ছবি গুলো যখন আমি সোসাল মিডিয়াতে পোস্ট করি তখন অনেকেই আমার যারা শুভাকাঙ্খীরা আছেন, সবাই এগিয়ে আসার একটা আগ্রহ প্রকাশ করেন। যখন তারা সহযোগিতা করলেন তখন আমি ৯৩২৮ টি এক বেলার খাবার বিতরণ করতে পেরেছি দরিদ্র, পথশিশুদের মধ্যে। এবং প্রায় ১৬০০০ খাবার,১৭০০ পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার, চাল ডাল তেল পিঁয়াজ ইত্যাদি বিতরণ করেছি।

এখন সময় আমাদের, একসাথে একযোগে কাজ করার।

সাঈদ স্যার। ইমরান



No comments